হুজরাপুর মডেল একাডেমী

হুজরাপুর মডেল একাডেমী

সভাপতির বাণী

সভাপতির বাণী

বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের জীবনব্যবস্থাকে আমূল পরিবর্তন করে দিয়েছে। পাশাপাশি, এটি বদলে দিয়েছে আমাদের অনেক প্রচলিত ধারণাকেও। যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে ইন্টারনেট। পৃথিবী আজ এমন এক জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে, যেখানে প্রতিটি সচেতন ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি ওয়েবসাইট থাকা অপরিহার্য।

বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ ওয়েবসাইট বিভিন্ন ব্যক্তি, সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের ভার্চুয়াল মুখপাত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্তমান যুগে একটি ওয়েবসাইটের গুরুত্ব এতটাই বেশি যে, তা ভাষায় প্রকাশ করাও কঠিন। যেসব প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ওয়েবসাইট নেই, সেগুলিকে এখন আর “স্মার্ট” প্রতিষ্ঠান বলা হয় না, কারণ তারা আধুনিক প্রযুক্তিগত সুবিধা থেকে অনেকটাই বঞ্চিত।

ওয়েবসাইট হচ্ছে এমন একটি প্রচারমাধ্যম, যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি বা একটি প্রতিষ্ঠান অল্প সময় ও খরচে অনেক মানুষের কাছে নিজেকে এবং তার তথ্য ও সেবাসমূহকে তুলে ধরতে পারে। একটি মানসম্মত ওয়েবসাইট যেকোনো প্রতিষ্ঠানের অফিসিয়াল মুখপাত্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল হালনাগাদ তথ্য—যেমন নোটিশ, রেজাল্ট, ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের উপস্থিতি—খুব সহজেই মুহূর্তের মধ্যেই শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট সবাই জানতে পারবে।

এই সময়ে অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মতোই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে মফস্বল এলাকার স্কুল-কলেজগুলোর জন্য একটি ওয়েবসাইট শিক্ষাব্যবস্থায় অভাবনীয় উন্নয়ন সাধন করতে পারে। মেট্রোপলিটন ও শহরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা নানা প্রযুক্তিগত সুবিধা পায়, যা মফস্বলের শিক্ষার্থীদের অনেক সময়ই মেলে না। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিলে প্রযুক্তির এই সুবিধা সকলের কাছে পৌঁছানো সম্ভব।

বর্তমানে আধুনিক প্রায় প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই নিজস্ব ওয়েবসাইট তৈরি করেছে। সরকারের পক্ষ থেকেও এই বিষয়ে নানা উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। শত শত, এমনকি হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে হলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ওয়েবসাইট ডেভেলপ করার কোনো বিকল্প নেই।

এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই হুজরাপুর মডেল একাডেমী-এর নিজস্ব ওয়েবসাইট চালু করা হয়েছে। এই ওয়েবসাইটে যেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণরূপে একটি আধুনিক, গতিশীল ও শিক্ষাবান্ধব কার্যক্রমের জন্য অপরিহার্য বলে আমি মনে করি।

আমি হুজরাপুর মডেল একাডেমীর সার্বিক সাফল্য ও উন্নতি কামনা করছি এবং এই প্রতিষ্ঠানের সুনাম ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সারা দেশ তথা বিশ্বের দরবারে ছড়িয়ে পড়ুক—এটাই আমার প্রত্যাশা।